কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম, মিঠাইমন, ইটনাসহ আশে-পাশের উপজেলাগুলোর হাওরে ইরি, বোরো, হাইব্রিট ধানের পাকা জমি কাটা শুরু হয়েগেছে বলে কৃষি সম্প্রাসারণ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরে কয়েক লাখ ইরি বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে কৃষকরা জানান, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। গত ছয় মাস ধরে কোনো বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি না থাকার কারণে হাওরে জমিতে ষ্কীমের এন্ট্রি ফিস অন্যান্য বছরের তুলনায় একর প্রতি কিছুটা বেশি। জমিতে ধানের ফলন প্রতি একরে ৬০-৭০ মন ধর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের মতে গত বছরের তুলনায় এবছর বাম্পার ফলন হবে বলে ধারনা করছেন। কৃষকরা জানায়, জমি থেকে কাঁচা ধান বর্তমানের ৮০০-৯০০ টাকা মন ধরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে তাদের এন্ট্রি ফিস, সার দিয়ে লোকসান গোনার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলেন, মধ্য সত্বভোগীদের নিকট থেকে সুদে টাকা এনে ধানের জমি রোপন করতে হয়। মধ্য সত্বভোগীদের টাকা অথবা ধান দিতে গিয়ে অর্ধেক গুলা খালি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরো বলেন, এবার যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তা হলে অনেক কৃষকের ভাগ্য একেরবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কৃষকদের একমাত্র ফসল ইরি বোরো ধান। নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তার ছয়টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি হাওরে প্রতি একরে ৭০-৮০ মন ধর থেকে শুরু করে ১০০ মন পর্যন্ত ইরি বোরো ধানের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
